বিডিনিউজ: ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেছেন, “যখন দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে, জনগণ ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখছে, তখন দুঃখজনকভাবে ঢাকায় কিছূ দূতাবাস অগ্রগতি ব্যাহত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
“আমি বলব না যে, কোনো দেশ এটা (ষড়যন্ত্র) করছে, ঢাকায় তাদের মিশনগুলো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
“তাদের উদ্দেশ্য কী?”
মঙ্গলবার ঢাকার র্যাডিসন হোটেলে তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন জয়। আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সিআরআই আয়োজিত ‘ইয়ুথ অন পলিটিকস, আ সেশন অব ইয়াং বাংলা উইথ সজীব ওয়াজেদ’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানটি শুক্রবার টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী সরকার থাকুক, তা তারা (যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস) চায় না। তারা চায় একটি দুর্বল সরকার, যারা তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে।”
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় বলেন, “যখনই আমি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কোনো অনুষ্ঠানে গিয়েছি তখনই জামাতের নেতা ও যুদ্ধাপরাধীদের সেখানে দেখেছি।
“তারা সব সময় তাদের আমন্ত্রণ করবে। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদের (জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধী) ঘাঁটি হয়ে উঠেছে। এবং তাদের সঙ্গে মিলে তারা সব সময় ষড়যন্ত্র করে।”
সজীব ওয়াজেদ তরুণদের প্রশ্ন করেন, “আমরা কি এমন একটা অনুগত সরকার চাইব, যারা যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের খেয়াল-খুশি মতো কাজ করবে? আমরা কি এ ধরনের সরকার চাই?
“আমরা কি আমাদের স্বাধীনতা হারাতে চাই? আমরা কি আমাদের জয় বাংলা হারাতে চাই?”
বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে সরকার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও ঢাকায় বিভিন্ন দেশের দূতাবাস কেন বিবৃতি দিল, সে প্রশ্ন তোলেন জয়।
ওই ঘটনায় ব্যাখ্যা চেয়ে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি এবং ব্রিটিশ হাই কমিশনারকে তলব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে প্রিয়া সাহা বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ তোলার পর যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
প্রিয়ার ওই বক্তব্যের পেছনে মার্কিন দূতাবাসের ‘দুরভিসন্ধি’ ছিল বলে সন্দেহ প্রকাশ করে এক ফেইসবুক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, “মার্কিন দূতাবাস যে আওয়ামী লীগবিরোধী তা নতুন কিছু নয়। তাদের সকল অনুষ্ঠানেই জামাত নেতাকর্মীরা ও যুদ্ধাপরাধীরা নিয়মিত আমন্ত্রিত হতেন। প্রিয়া সাহার মিথ্যা বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে তাদের সরাসরি আধিপত্য বিস্তারের ষড়যন্ত্র পরিষ্কারভাবেই লক্ষ করা যাচ্ছে।
“সৌভাগ্যবশত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার সরকার অন্যান্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার নীতিতে বিশ্বাসী নন। তারা এই ধরনের ভয়ংকর মিথ্যা দাবি বিশ্বাস করার মতন বোকাও নন।”